বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আব্দুল আউয়াল। আউয়াল দূরারোগ্য ব্যাধি সেমিনোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ৮ লাখ টাকা। কিন্তু অজপাড়াগাঁয়ে বেড়ে ওঠা দরিদ্র পরিবারের সন্তান আউয়ালের দিগন্ত ছোঁয়ার স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মরণব্যাধি ক্যান্সার।
দুই মাস আগে থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনেও চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোনো সামর্থ্য নেই তার। সন্তানকে ঘাতকব্যাধির গ্রাস থেকে ফেরানোর জন্য করুণ আর্তি থাকলেও সামর্থ্য নেই দরিদ্র বাবা রফিক আলীর। চোখের সামনে সন্তানের তিলে তিলে শেষ হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
আউয়াল ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বেরোবির পদার্থ বিজ্ঞানে ভর্তি হন। বর্তমানে ওই বিভাগেই স্নাতকোত্তরে অধ্যয়ণরত। আউয়ালের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের খারিজা কাটন হারি গ্রামে।
কৃষক বাবা রফিক আলীর ৬ শতক জমির উপর মাটির ঘর রয়েছে। বিক্রি করার মত জমিও নেই মাঠে। টাকা জোগাড় না হওয়ায় অসুস্থ হয়ে বর্তমানে বাড়িতেই দিন কাটছে আউয়ালের। চিকিৎসার টাকার চিন্তায় আউয়ালের বাবা-মা এখন দিশেহারা। তারা চান সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় তাদের সন্তান সুস্থ হয়ে উঠুক।
আউয়ালের সহপাঠীরা জানান, আউয়াল ভর্তির পর থেকেই টিউশনি করে নিজের খরচ জোগাড় করত। আউয়াল অত্যন্ত মেধাবী। সবাই একটু সাহায্যের হাত বাড়ালে আউয়ালকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
পাঠকের মতামত